তিনি বলেন, ‘ভাষা-প্রযুক্তি বিষয়ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সার্ভিসগুলো দেশের তথ্য প্রযুক্তির পরিকাঠামো বদলে দেবে। একই সাথে ই-নথিকে ডি-নথিতে রূপান্তর করার জন্য এতে টেক্সট টু স্পিচ, বানান ও ব্যাকরণ সংশোধক ও ওসিআর এর মত সার্ভিসগুলোও যুক্ত করা হবে।’
সোমবার গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পসহ আইসিটি বিভাগের বিসিসি’র আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গুগলের ‘জিবোর্ডের’ মতো ‘বাংলা বোর্ড’ ডেভেলপ করা হচ্ছে উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘এ ইনপুট সিস্টেম বা কিবোর্ডে স্পেলচেকার, ওসিআর ও স্পিচ টু টেক্সট ইঞ্জিন যুক্ত থাকবে। এই ইনপুট সিস্টেমটিতে অটোমেটিক নেক্সট ক্যারেক্টার ও নেক্সট ওয়ার্ড সাজেশনের মতো ফিচার রয়েছে।’
এছাড়া স্ক্রিন রিডার, ব্রেইল কনভার্টার, সাইন টু টেক্সট রিকগনিশন সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব করা হবে এবং ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ভাষা তথ্য প্রযুক্তির আওতায় আনতে ইউনিভার্সাল বোর্ড নামে একটি লেআউট ফ্রি কিবোর্ড তৈরির পশাপাশি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের ভাষা সংরক্ষণের জন্য ডিজিটাল রিসোর্স আর্কাইভও তৈরি করা হচ্ছে করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১০০ মিলিয়ন সিনট্যাকটিক ট্রি ব্যাংক করপাস তৈরির কাজ চলমান রয়েছে, যা মূলত ন্যাশনাল করপাসের অংশ। এই কম্পোনেন্ট থেকে বাংলাদেশে প্রথম করপাস ড্রাইভেন লেক্সিকন তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও এই কার্যক্রমে দশ হাজার ঘণ্টার স্পিচ করপাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেন্টিমেন্ট ও ইমোশন অ্যানালাইজারের মাধ্যমে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মতামত মাইনিং করার ব্যবস্থা হচ্ছে।’
মতবিনিময়কালে ক্রাউডসোর্স অ্যাপ্লিকেশন, এনএলপি পাইপলাইন ও স্ক্র্যাপারের মতো টুলসগুলো দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে বলে অবহিত করা হয়। বাংলা থেকে ১০টি ভাষায় যান্ত্রিক অনুবাদক সার্ভিস তৈরির কার্যক্রম চলছে উল্লেখ করে, ২০২১ সালের মধ্যে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সার্ভিসগুলো দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জুম অনলাইন প্লাটফর্মে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।